রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক সংখ্যাতত্ত্ব (Numerical Methods) পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা দেখতে পান এক অভিনব প্রশ্ন। সেখানে ‘abbid গ্যাং’ নামের একটি কাল্পনিক চরিত্র ব্যবহার করে ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসে সিম্পসনস রুল ও ট্র্যাপিজয়ডাল রুল প্রয়োগের প্রশ্ন দেওয়া হয়।
প্রশ্নটি আসলে ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাসের নির্ভুলতা যাচাই শেখানোর উদ্দেশ্যে তৈরি হলেও এর সৃজনশীল উপস্থাপন শিক্ষার্থীদের চমকিত করেছে। কারণ এখানে ব্যবহৃত “abbid” শব্দটি আসলে উল্টো করে লেখা “ডিব্বা”—সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত শব্দটিকে এমন বুদ্ধিদীপ্তভাবে ব্যবহার করে শিক্ষকরা পাঠদানে এক ধরনের হাস্যরসের যোগও করেছেন।
শিক্ষকরা এই প্রশ্নের মাধ্যমে আসলে বোঝাতে চেয়েছেন—শর্টকাট পদ্ধতি দিয়ে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না; প্রকৌশলবিদ্যায় নির্ভুলতা ও যৌক্তিক পদ্ধতির গুরুত্বই আসল। তাই প্রশ্নপত্রের ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গি একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়িয়েছে, অন্যদিকে চলমান প্রকৌশলীদের আন্দোলনের আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সম্প্রতি দেশে প্রকৌশলীদের পেশাগত অধিকার নিয়ে যে আন্দোলনের ঝড় উঠেছে, তারই প্রেক্ষাপটে অনেকেই এই প্রশ্নকে দেখছেন শিক্ষকদের রসিকতাপূর্ণ অংশগ্রহণ হিসেবে। এতে প্রমাণ হয়, শিক্ষকরা কেবল পাঠদানেই সীমাবদ্ধ নন, বরং সামাজিক আলোচনার সঙ্গে বুদ্ধিদীপ্তভাবে সংযুক্তও হচ্ছেন।
শিক্ষার্থীদের অনেকে এটিকে “মজার অথচ শিক্ষণীয়” প্রশ্ন হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। তাঁদের মতে, এরকম উপস্থাপনা গণিত ও প্রকৌশলকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।