২০২৫ সালের নভেম্বর—বাংলাদেশ-ভারত রাজনীতি ও সীমান্ত পরিস্থিতি ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দুই দেশের সম্পর্ক অস্থিরতায় ঘেরা। এর মাঝে, ভারত পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় সীমান্তের কাছে নতুন সেনা ঘাঁটি চালু করেছে; পাশাপাশি আসামের ধুবরিতেও লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছে।
ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি সরাসরি সীমান্তের ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন; ব্রহ্মাস্ত্র কর্পস মোতায়েন সৈন্যদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার নির্দেশনা দিয়েছেন।
চোপড়া ডিফেন্স ল্যান্ড এবং আসামের বামুনিগাঁও-ধুবরি ঘাঁটিতে সৈন্য সংখ্যা, অবকাঠামো, তদারকি ও কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইস্টার্ন কমান্ডের ভাষ্যমতে, 'নতুন সামরিক স্টেশন অঞ্চলটির সেনা সক্ষমতা ও অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে, যা আসামের ঐতিহ্যকে পুনরুত্থিত করবে'।
রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ—হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে যেসব ইস্যুতে টানাপোড়েন: সীমান্ত হত্যা, সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ, ভিসা সংকট, বন্যা ও অবকাঠামোগত সরাসরি দ্বন্দ্ব। ফলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জটিলতা আরও বেড়েছে এবং স্থলসীমান্ত এলাকায় মিলিটারি-তৎপরতা বৃদ্ধি পূর্বাঞ্চলে নতুন ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।
এ অঞ্চলের বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন—সীমান্তবর্তী নতুন ঘাঁটি ও সেনা উপস্থিতি দীর্ঘমেয়াদি কূটনৈতিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা ইস্যুকে গভীরতর করে তুলবে। দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতির পরিবর্তে আস্থার সংকট, তথ্য প্রবাহে সীমাবদ্ধতা এবং মানবাধিকার-প্রভাব ছাত্র-রাজনীতি ও অর্থনীতিতেও প্রসারিত হচ্ছে।